২০০১ সালের ৭মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে হল উদ্বোধন করেন। মূলত তিনি ভাষা শহীদদের স্মরণে হলটির এ বিশেষ নামকরণ করেন।

আজ ৭মে ২০২২ এ সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করছে অমর একুশে হল ছাত্রলীগ। এ দিনটি স্মরণে তারা একটি বিশেষ প্রেস বার্তা দিয়েছেন।

বার্তাটি নিম্নরূপ-

“বাঙালি এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলন এক গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা । মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা এর শিক্ষার্থীরা । এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ । একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের সংগ্রামী চেতনাকে করে উজ্জীবিত, দেশপ্রেমকে করে জাগ্রত । একুশের সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতে এবং ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দায়বদ্ধতা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অমর একুশে হল ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২৪ বৈশাখ, ১৪০৮ ( ৭ মে, ২০০১ ) অমর একুশে হলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন । সেদিন হল চত্বরে একটি নিম চামেলি গাছের চারাও তিনি রোপণ করেছিলেন । কালপরিক্রমায় সেই চারা গাছটি আজ বিশাল মহীরূহ । চারা গাছটির পথ ধরে সেদিনের সেই নবীন হলটিও আজ একুশ বছরের টগবগে যুবক । একুশ বছরের এই নাতিদীর্ঘ জীবনে অমর একুশে হল মুখরিত হয়েছে অসংখ্য মেধাবী মুখের কলকাকলিতে । ভবিষ্যতেও দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালের কান্ডারি হয়ে দাঁড়াবে অমর একুশে হল এবং ভূমিকে রাখবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে, আজকের দিনে এমনটাই প্রত্যাশা ।

শুভ জন্মদিন প্রাণের অমর একুশে হল, দীর্ঘজীবী হও।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”

অমর একুশে হল ছাত্রলীগ সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন বলেন-“অমর একুশে হল ২০০১ সালের ৭মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মাণ করেন। আমরা বিশ্বাস করি এখানে যারা আছি সবাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। অমর একুশে হলের সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রয়াসে বর্তমান এই ডিজিটাল বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে অমর একুশে হল সর্বদা এগিয়ে থাকবে এবং আধুনিক শিক্ষার্থী বান্ধব একটি পরিবেশ এই হলে বিরাজ করবে ইনশাআল্লাহ।”